ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ল্যুভর জাদুঘরে চুরি ফ্রান্সে “আশা এবং আমার সংগ্রাম” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা দেড় হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১২তম মুসলিম চ্যারিটি রান বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করণীয় তরুণদের বিদেশমুখিতা: সুযোগ না সংকট? ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এক সতর্কবার্তা”

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো বড় জোট, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে উগ্র ডানপন্থীদের উত্থান

  • আপডেট সময় ০৯:৪৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯
  • ৩১৮ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে মধ্য ডানপন্থী ইউরোপিয়ান পিপল’স পার্টি (ইপিপি) ও মধ্য বামপন্থী সোশ্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাট শিবির তাদের জোটবদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এবারের নির্বাচনে সমর্থন বেড়েছে লিবারেল ও গ্রিনদের প্রতি। তবে ইপিপি’র আসন কমলেও এককভাবে তারা পার্লামেন্টে বড় ব্লক হিসেবে অবস্থান বজায় রেখেছে। প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ক্ষমতার নতুন ভারসাম্য তৈরি হতে যাচ্ছে। মধ্যপন্থী অ্যালায়েন্স অব লিবারেল অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস ফর ইউরোপ (এএলডিই), উগ্র ডানপন্থী ইউরো সংশয়ী দলগুলো এবং গ্রিনস/ইউরোপিয়ান ফ্রি অ্যালায়েন্স এর আগের চেয়ে বড় ধরনের অর্জনের মধ্য দিয়ে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন প্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষ। এর আসন সংখ্যা ৭৫১। এসব আসনে বিজয়ীদেরকে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) হিসেবে ডাকা হয়ে থাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভোটাররা পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত করে থাকে। ইইউ’র ২৮ সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন এ সদস্যরা। এ পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো ইউরোপীয় কমিশন প্রস্তাবিত আইন বিবেচনা ও পাস করা। কমিশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ইইউ-এর জন্য বাজেট তৈরির দায়িত্বও তাদের। আটটি প্রধান গ্রুপের সমন্বয়ে এ পার্লামেন্ট গঠিত। তাদের রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে তৈরি চেম্বারে একসঙ্গে বসে তারা। গত ২৩ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত এ পার্লামেন্টে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলে দেখা গেছে, মধ্য ডানপন্থী ও মধ্য বামপন্থীদের শিবির জোটগতভাবে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে যাচ্ছে। এগিয়ে রয়েছে মধ্যপন্থীরা।

২০ বছরের মধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে এবার সবচেয়ে বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিল। কিছু দেশে জনতোষণবাদীরা সফলতা পেলেও আভাস অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়নি তাদের। যুক্তরাজ্যে নবগঠিত ব্রেক্সিট পার্টি বড় জয় পেয়েছে। বিপরীতে বড় ধরনের পরাজয় হয়েছে কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির। তবে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা তাদের শক্ত অবস্থান দেখাতে পেরেছে।

২০১৪ সালে ২১৬টি আসন পাওয়া ইপিপি এবার ১৭৯টি আসন পেতে যাচ্ছে। আর সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাটদের আসন সংখ্যা ১৯১ থেকে কমে ১৫০ এ নেমে এসেছে। অন্যদিকে গত নির্বাচনে ৬৯টি আসন পাওয়া এএলডিই শিবির ও তাদের মিত্ররা এবার ১০৭টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এর পর পরই রয়েছে গ্রিনস/ইউরোপিয়ান ফ্রি অ্যালায়েন্স এর অবস্থান। গতবার ৫২টি আসন পেলেও এবার ৭০টি আসন পেয়েছে তারা।

বর্তমান পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, পূর্ববর্তী সময়ে আধিপত্য বিস্তারকারী কনজারভেটিভ ইপিপি এবং সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাট ব্লক কোনও ধরনের সমর্থন ছাড়া ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ‘বড় জোট’ গড়ে তুলতে পারবে না। তবে লিবারেল এএলডিই ব্লকের অর্জনের কারণে ইইউপন্থী দলগুলো এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন ধরে রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, লিবারেল ও গ্রিনদের সমর্থন নিয়ে সোশ্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাট শিবিরের সঙ্গে ‘বড় জোট’ গড়তে পারে ইউরোপিয়ান পিপল’স পার্টি (ইপিপি)।

এএলডিই-এর নেতা গুই ভেরহফস্টাডট বলেন, ‘৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সোশ্যালিস্ট ও কনজারভেটিভ এ দুইটি প্রথম শ্রেণির দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকছে না। এটি পরিষ্কার যে এ সন্ধ্যাটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে। কারণ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ক্ষমতার নতুন ভারসাম্য থাকবে।

বাংলা ট্রিবিউন থেকে

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো বড় জোট, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে উগ্র ডানপন্থীদের উত্থান

আপডেট সময় ০৯:৪৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে মধ্য ডানপন্থী ইউরোপিয়ান পিপল’স পার্টি (ইপিপি) ও মধ্য বামপন্থী সোশ্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাট শিবির তাদের জোটবদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এবারের নির্বাচনে সমর্থন বেড়েছে লিবারেল ও গ্রিনদের প্রতি। তবে ইপিপি’র আসন কমলেও এককভাবে তারা পার্লামেন্টে বড় ব্লক হিসেবে অবস্থান বজায় রেখেছে। প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ক্ষমতার নতুন ভারসাম্য তৈরি হতে যাচ্ছে। মধ্যপন্থী অ্যালায়েন্স অব লিবারেল অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস ফর ইউরোপ (এএলডিই), উগ্র ডানপন্থী ইউরো সংশয়ী দলগুলো এবং গ্রিনস/ইউরোপিয়ান ফ্রি অ্যালায়েন্স এর আগের চেয়ে বড় ধরনের অর্জনের মধ্য দিয়ে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন প্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষ। এর আসন সংখ্যা ৭৫১। এসব আসনে বিজয়ীদেরকে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) হিসেবে ডাকা হয়ে থাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভোটাররা পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত করে থাকে। ইইউ’র ২৮ সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন এ সদস্যরা। এ পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো ইউরোপীয় কমিশন প্রস্তাবিত আইন বিবেচনা ও পাস করা। কমিশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ইইউ-এর জন্য বাজেট তৈরির দায়িত্বও তাদের। আটটি প্রধান গ্রুপের সমন্বয়ে এ পার্লামেন্ট গঠিত। তাদের রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে তৈরি চেম্বারে একসঙ্গে বসে তারা। গত ২৩ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত এ পার্লামেন্টে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলে দেখা গেছে, মধ্য ডানপন্থী ও মধ্য বামপন্থীদের শিবির জোটগতভাবে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে যাচ্ছে। এগিয়ে রয়েছে মধ্যপন্থীরা।

২০ বছরের মধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে এবার সবচেয়ে বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিল। কিছু দেশে জনতোষণবাদীরা সফলতা পেলেও আভাস অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়নি তাদের। যুক্তরাজ্যে নবগঠিত ব্রেক্সিট পার্টি বড় জয় পেয়েছে। বিপরীতে বড় ধরনের পরাজয় হয়েছে কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির। তবে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা তাদের শক্ত অবস্থান দেখাতে পেরেছে।

২০১৪ সালে ২১৬টি আসন পাওয়া ইপিপি এবার ১৭৯টি আসন পেতে যাচ্ছে। আর সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাটদের আসন সংখ্যা ১৯১ থেকে কমে ১৫০ এ নেমে এসেছে। অন্যদিকে গত নির্বাচনে ৬৯টি আসন পাওয়া এএলডিই শিবির ও তাদের মিত্ররা এবার ১০৭টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এর পর পরই রয়েছে গ্রিনস/ইউরোপিয়ান ফ্রি অ্যালায়েন্স এর অবস্থান। গতবার ৫২টি আসন পেলেও এবার ৭০টি আসন পেয়েছে তারা।

বর্তমান পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, পূর্ববর্তী সময়ে আধিপত্য বিস্তারকারী কনজারভেটিভ ইপিপি এবং সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাট ব্লক কোনও ধরনের সমর্থন ছাড়া ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ‘বড় জোট’ গড়ে তুলতে পারবে না। তবে লিবারেল এএলডিই ব্লকের অর্জনের কারণে ইইউপন্থী দলগুলো এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন ধরে রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, লিবারেল ও গ্রিনদের সমর্থন নিয়ে সোশ্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাট শিবিরের সঙ্গে ‘বড় জোট’ গড়তে পারে ইউরোপিয়ান পিপল’স পার্টি (ইপিপি)।

এএলডিই-এর নেতা গুই ভেরহফস্টাডট বলেন, ‘৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সোশ্যালিস্ট ও কনজারভেটিভ এ দুইটি প্রথম শ্রেণির দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকছে না। এটি পরিষ্কার যে এ সন্ধ্যাটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে। কারণ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ক্ষমতার নতুন ভারসাম্য থাকবে।

বাংলা ট্রিবিউন থেকে