ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ল্যুভর জাদুঘরে চুরি ফ্রান্সে “আশা এবং আমার সংগ্রাম” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা দেড় হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১২তম মুসলিম চ্যারিটি রান বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করণীয় তরুণদের বিদেশমুখিতা: সুযোগ না সংকট? ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এক সতর্কবার্তা”

দ্বীপটি ছয় মাস স্পেনের, ছয় মাস ফ্রান্সের!

  • আপডেট সময় ১১:৫১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৫৭৭ বার পড়া হয়েছে

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার বর্গমিটারের একটি দ্বীপ স্বেচ্ছায় স্পেনকে দিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। অথচ দুই পক্ষে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি। নেই কোনো বাদ-বিবাদও। করবেই বা কেন? ছয় মাস পর যে আবার দ্বীপটি ফিরে পাবে ফ্রান্স!

স্পেন ও ফ্রান্সের সীমানা বরাবর এই দ্বীপটির নাম ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। প্রায় ৩৫০ বছর ধরে ছয় মাস অন্তর মালিকানা বদল হয়ে আসছে দ্বীপটির। আকারে ছোট্ট দ্বীপটি লম্বায় মাত্র ২০০ মিটার। আর চওড়ায় ৪০ মিটার।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যকার প্রাকৃতিক সীমান্ত হলো বিদাসোয়া নামের একটি নদী। এই নদীর ঠিক মাঝ দিয়ে গেছে দুই দেশের সীমান্তরেখা। আর সীমানা বরাবর একফালি দ্বীপ ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। গাছে ঘেরা ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে কেউ থাকে না। পর্যটকেরাও যান না খুব একটা। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই দ্বীপে চলে স্পেনের শাসন। বাকি ছয় মাস দ্বীপের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে ফ্রান্স।

এখন ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে জনমানুষের চিহ্ন না থাকলেও, ঐতিহাসিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। ১৬৫৯ সালে স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে। তখন থেকেই এই দ্বীপ একটি নিরপেক্ষ এলাকা। দুই দেশ সেখানে একটি শান্তিচুক্তিতে সাক্ষর করেছিল। আর চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রায় তিন মাস ধরে মধ্যস্থতা চলেছিল।

ওই চুক্তির নাম ট্রিটি অব পিরেনিস। চুক্তি চূড়ান্ত করতে আয়োজন করা হয়েছিল এক রাজকীয় বিয়ের। স্পেনের রাজা পঞ্চম ফিলিপের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই। এভাবেই চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল।

সেই থেকে শুরু। এখনো চলছে দ্বীপের মালিকানা বদলের ঐতিহ্য। এভাবে কোনো স্থানের দ্বৈত সার্বভৌমত্বের বিষয়টিকে বলা হয় কন্ডোমিনিয়াম। ঐতিহাসিকদের মতে, এখনো পর্যন্ত কন্ডোমিনিয়ামের সবচেয়ে পুরোনো উদাহরণ হলো ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। কেউ কেউ মজা করে বলেন, এই দ্বীপটিই নাকি বিশ্বের একমাত্র সীমান্তবর্তী দ্বীপ—যা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই!

এখন কদাচিৎ সাধারণ মানুষের পা পড়ে এই দ্বীপে। ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড আগের চেয়ে আকারে অনেক ছোট হয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভূমিক্ষয়ের কারণে গত এক শ বছরে প্রায় অর্ধেক হয়ে এসেছে দ্বীপটি। নিয়মিত মালিকানা বদল হলেও, ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে কোনো সরকারি স্থাপনা তৈরির উদ্যোগ কখনোই নেয়নি কোনো দেশ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দ্বীপটি ছয় মাস স্পেনের, ছয় মাস ফ্রান্সের!

আপডেট সময় ১১:৫১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার বর্গমিটারের একটি দ্বীপ স্বেচ্ছায় স্পেনকে দিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। অথচ দুই পক্ষে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি। নেই কোনো বাদ-বিবাদও। করবেই বা কেন? ছয় মাস পর যে আবার দ্বীপটি ফিরে পাবে ফ্রান্স!

স্পেন ও ফ্রান্সের সীমানা বরাবর এই দ্বীপটির নাম ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। প্রায় ৩৫০ বছর ধরে ছয় মাস অন্তর মালিকানা বদল হয়ে আসছে দ্বীপটির। আকারে ছোট্ট দ্বীপটি লম্বায় মাত্র ২০০ মিটার। আর চওড়ায় ৪০ মিটার।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যকার প্রাকৃতিক সীমান্ত হলো বিদাসোয়া নামের একটি নদী। এই নদীর ঠিক মাঝ দিয়ে গেছে দুই দেশের সীমান্তরেখা। আর সীমানা বরাবর একফালি দ্বীপ ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। গাছে ঘেরা ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে কেউ থাকে না। পর্যটকেরাও যান না খুব একটা। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই দ্বীপে চলে স্পেনের শাসন। বাকি ছয় মাস দ্বীপের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে ফ্রান্স।

এখন ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে জনমানুষের চিহ্ন না থাকলেও, ঐতিহাসিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। ১৬৫৯ সালে স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে। তখন থেকেই এই দ্বীপ একটি নিরপেক্ষ এলাকা। দুই দেশ সেখানে একটি শান্তিচুক্তিতে সাক্ষর করেছিল। আর চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রায় তিন মাস ধরে মধ্যস্থতা চলেছিল।

ওই চুক্তির নাম ট্রিটি অব পিরেনিস। চুক্তি চূড়ান্ত করতে আয়োজন করা হয়েছিল এক রাজকীয় বিয়ের। স্পেনের রাজা পঞ্চম ফিলিপের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই। এভাবেই চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল।

সেই থেকে শুরু। এখনো চলছে দ্বীপের মালিকানা বদলের ঐতিহ্য। এভাবে কোনো স্থানের দ্বৈত সার্বভৌমত্বের বিষয়টিকে বলা হয় কন্ডোমিনিয়াম। ঐতিহাসিকদের মতে, এখনো পর্যন্ত কন্ডোমিনিয়ামের সবচেয়ে পুরোনো উদাহরণ হলো ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। কেউ কেউ মজা করে বলেন, এই দ্বীপটিই নাকি বিশ্বের একমাত্র সীমান্তবর্তী দ্বীপ—যা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই!

এখন কদাচিৎ সাধারণ মানুষের পা পড়ে এই দ্বীপে। ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড আগের চেয়ে আকারে অনেক ছোট হয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভূমিক্ষয়ের কারণে গত এক শ বছরে প্রায় অর্ধেক হয়ে এসেছে দ্বীপটি। নিয়মিত মালিকানা বদল হলেও, ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে কোনো সরকারি স্থাপনা তৈরির উদ্যোগ কখনোই নেয়নি কোনো দেশ।