ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ক্ষমা: ভদ্রতার প্রতীক নাকি রাজনৈতিক ফাতরামি? প্যারিসগামী ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার সোমবার চমক: সিলেট-৩ এ বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা ইউনেস্কোতে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় প্যারিসে রাষ্ট্রদূত খন্দকার তালহাকে সংবর্ধনা বৃটেনে সাফল্যের আলো ছড়ালেন বাংলাদেশি তরুণী তাহমিনা আহমদ পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত

  • আপডেট সময় ১২:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে

লিবিয়া উপকূলে একটি রাবারের নৌকা ডুবে ২০ শিশুসহ শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রাণ সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স। চলতি মাসের শুরুতে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানায় সংস্থাটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

সোমবার বেঁচে যাওয়া একজনকে উদ্ধৃত করে দাতা সংস্থাটি জানায়, নিহতদের মধ্যে ১৭ মাস বয়সী জমজ ও তাদের বাবা-মাও ছিলো। ১ সেপ্টেম্বর লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রা ‍শুরু করে নৌকা দুটি। সুদান, মালি, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, ঘানা, লিবিয়া, আলজেরিয়া ও মিসরের মতো আফ্রিকান দেশ থেকে অভিবাসীরা ইউরোপে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

হঠাৎ একটি নৌকার ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে এবং আরেকটি ভাঙতে শুরু করে। কয়েকজন ভাঙা অংশ আকড়ে ধরে বেঁচে গেছেন। এমএসএফ নামে পরিচিত ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানায়, ইতালিয়ান কোস্টগার্ড সাহায্যের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পৌঁছানোর পূর্বেই নৌকা ডুবে যায়।

বেঁচে যাওয়া একজন এমএসএফকে বলেন, ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে এলোপাতাড়ি ঘুরতে থাকে নৌকাটি। সেসময় ১৬৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ২০ জন শিশু ছিলো নৌকায়। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি মোবাইল নেভিগেশনে দেখতে পান যে মালটা উপকূল বেশি দূরে না। তিনি বলেন, আমরা সাঁতার কাঁটতে পারছিলাম না। অল্প কয়েকজনের কাছে লাইফ জ্যাকেট ছিলো। যারা নৌকা কিংবা ভাঙা অংশ ধরে রাখতে পেরেছিলেন তারাই বেঁচে গেছেন।
এমএসএফের নার্স জয় দেফ্রান্সিস বলেন, আমাদের দল কয়েকঘণ্টা ধরে বেঁচে যাওয়াদের চিকিৎসা দিয়েছে।

এর আগে ১ জুলাই ইউরোপে পাড়ি জমানোর আশায় নৌকাডুবে অন্তত ১ হাজার জন নিহত হয়েছিলেন। জুনে ইতালীয় সরকার ও লিবীয় কোস্টগার্ড জানায়, ২০০ এরও বেশি মানুষ ভূমধ্যসাগড়ের ডুবে মারা গেছেন। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৩ হাজারেরও বেশি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ক্ষমা: ভদ্রতার প্রতীক নাকি রাজনৈতিক ফাতরামি?

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত

আপডেট সময় ১২:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

লিবিয়া উপকূলে একটি রাবারের নৌকা ডুবে ২০ শিশুসহ শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রাণ সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স। চলতি মাসের শুরুতে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানায় সংস্থাটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

সোমবার বেঁচে যাওয়া একজনকে উদ্ধৃত করে দাতা সংস্থাটি জানায়, নিহতদের মধ্যে ১৭ মাস বয়সী জমজ ও তাদের বাবা-মাও ছিলো। ১ সেপ্টেম্বর লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রা ‍শুরু করে নৌকা দুটি। সুদান, মালি, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, ঘানা, লিবিয়া, আলজেরিয়া ও মিসরের মতো আফ্রিকান দেশ থেকে অভিবাসীরা ইউরোপে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

হঠাৎ একটি নৌকার ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে এবং আরেকটি ভাঙতে শুরু করে। কয়েকজন ভাঙা অংশ আকড়ে ধরে বেঁচে গেছেন। এমএসএফ নামে পরিচিত ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানায়, ইতালিয়ান কোস্টগার্ড সাহায্যের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পৌঁছানোর পূর্বেই নৌকা ডুবে যায়।

বেঁচে যাওয়া একজন এমএসএফকে বলেন, ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে এলোপাতাড়ি ঘুরতে থাকে নৌকাটি। সেসময় ১৬৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ২০ জন শিশু ছিলো নৌকায়। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি মোবাইল নেভিগেশনে দেখতে পান যে মালটা উপকূল বেশি দূরে না। তিনি বলেন, আমরা সাঁতার কাঁটতে পারছিলাম না। অল্প কয়েকজনের কাছে লাইফ জ্যাকেট ছিলো। যারা নৌকা কিংবা ভাঙা অংশ ধরে রাখতে পেরেছিলেন তারাই বেঁচে গেছেন।
এমএসএফের নার্স জয় দেফ্রান্সিস বলেন, আমাদের দল কয়েকঘণ্টা ধরে বেঁচে যাওয়াদের চিকিৎসা দিয়েছে।

এর আগে ১ জুলাই ইউরোপে পাড়ি জমানোর আশায় নৌকাডুবে অন্তত ১ হাজার জন নিহত হয়েছিলেন। জুনে ইতালীয় সরকার ও লিবীয় কোস্টগার্ড জানায়, ২০০ এরও বেশি মানুষ ভূমধ্যসাগড়ের ডুবে মারা গেছেন। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৩ হাজারেরও বেশি।