ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা! আননূর মাদরাসার পক্ষ থেকে হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু-কে মেলবন্ধন স্মারক প্রদান বালাগঞ্জে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে “নবাগত ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ’র মতবিনিময় বালাগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ‘হাতের মুঠোয় সকল সেবা’ কার্যক্রম চালু বিমানের প্যারিস-ঢাকা ফ্লাইট পুনরায় চালুর জোরালো দাবী প্রবাসীদের বালাগঞ্জে ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ হত্যা মামলার অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খলকু মিয়া আটক গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে সংবর্ধনা ও শিক্ষা সেমিনার অন্তর্বর্তীকালীন সকল সিদ্ধান্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নেওয়া উচিত- বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া

মায়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা

  • আপডেট সময় ০৩:২৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ২১৩ বার পড়া হয়েছে

রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার ঘটনায় মায়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

সোমবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে তারা একমত হন বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স।

২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখের মতো মানুষ। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ আখ্যা দিয়েছে। রাখাইনের সহিংসতাকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। তবে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডরিকা মোঘেরিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে বেশ কিছু ব্যক্তির ইউরোপ ভ্রমণ ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তাব পাস করার কথা রয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক ও কৌশলগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রীরা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে ইইউ’র এবারের নিষেধাজ্ঞাই হতে পারে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পক্ষ থেকে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্ত হবে।

ইইউ’র বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯৯০ এর দশকে মিয়ানমারের ওপর আরোপ করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করতে চেয়েছেন। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ রয়েছে। তবে আরও কঠোর করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা বিস্তারিত জানানো হয়নি।

নিষেধাজ্ঞার আলোচনা হলেও বৈঠকে মিয়ানমারের কোনও সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে দুইজন কূটনীতিক বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য গত ডিসেম্বরে মেজর জেনারেল মাং মাং সোয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে একজন কূটনীতিক বলেছেন, ইইউর নিধেষাজ্ঞার তালিকায় একজনের বেশি জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার নাম থাকবে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের আরেকটি নিধেষাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করা হলেও ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন চীন ও রাশিয়া তাতে বাধা দিয়েছে। তারা বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করে। ওই বাধার প্রতিবাদেই ইইউ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা!

মায়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা

আপডেট সময় ০৩:২৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার ঘটনায় মায়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

সোমবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে তারা একমত হন বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স।

২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখের মতো মানুষ। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ আখ্যা দিয়েছে। রাখাইনের সহিংসতাকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। তবে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডরিকা মোঘেরিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে বেশ কিছু ব্যক্তির ইউরোপ ভ্রমণ ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তাব পাস করার কথা রয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক ও কৌশলগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রীরা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে ইইউ’র এবারের নিষেধাজ্ঞাই হতে পারে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পক্ষ থেকে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্ত হবে।

ইইউ’র বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯৯০ এর দশকে মিয়ানমারের ওপর আরোপ করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করতে চেয়েছেন। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ রয়েছে। তবে আরও কঠোর করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা বিস্তারিত জানানো হয়নি।

নিষেধাজ্ঞার আলোচনা হলেও বৈঠকে মিয়ানমারের কোনও সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে দুইজন কূটনীতিক বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য গত ডিসেম্বরে মেজর জেনারেল মাং মাং সোয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে একজন কূটনীতিক বলেছেন, ইইউর নিধেষাজ্ঞার তালিকায় একজনের বেশি জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার নাম থাকবে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের আরেকটি নিধেষাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করা হলেও ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন চীন ও রাশিয়া তাতে বাধা দিয়েছে। তারা বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করে। ওই বাধার প্রতিবাদেই ইইউ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।