ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্যারিসগামী ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার সোমবার চমক: সিলেট-৩ এ বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা ইউনেস্কোতে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় প্যারিসে রাষ্ট্রদূত খন্দকার তালহাকে সংবর্ধনা বৃটেনে সাফল্যের আলো ছড়ালেন বাংলাদেশি তরুণী তাহমিনা আহমদ পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ল্যুভর জাদুঘরে চুরি

বালাগঞ্জের স্কুলছাত্রী ধর্ষণকারী আরিফ ও রুমন এখনো অধরা

  • আপডেট সময় ১১:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ এপ্রিল ২০১৮
  • ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

বালাগঞ্জের তয়রুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো অধরা রয়ে গেছে দুই ধর্ষক। এমনকি যে মোবাইল ফোন দিয়ে ধষর্ণের ভিডিও ধারণ করেছিল ধর্ষকরা সেটিও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মনে। অতিসত্ত্বর দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

ইতোমধ্যে গত ১৩ মার্চ তয়রুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপির অনুলিপি প্রেরণ করে তাঁরা।

ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে আসাও বন্ধ করে দিয়েছে ঐ স্কুল ছাত্রী।
প্রসঙ্গ, গত ১০ মার্চ সকালে ঐ ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সিরিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আশিক মিয়ার ছেলে আরিফ কৌশলে তার বন্ধু নবীনগর এলাকার ভাড়াটে বাসিন্দা উপেন্ড দাশের ছেলে রুমনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ঐ ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে আরিফ ও রুমন মিলে একাধিকবার ধর্ষন করে এবং ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। ঘটনা চাপা রাখতে ধারণকৃত ভিডিওটি অনলাইনে ছেড়ে দেয়ারও হুমকী দেয় তারা। ঘটনার দিন রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দুই ধর্ষককে অভিযুক্ত করে বালাগঞ্জ একটি মামলা দায়ের করেন।
তয়রুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম আখন্দ বলেন, ঘটনার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষোব্ধ এবং হতাশ। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানান তিনি।
স্কুল ছাত্রীর বাবা রুয়েল খান বলেন, পুলিশ এখনো আসামীদের খুঁজে পায়নি। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বালাগঞ্জ থানার ওসি এসএম জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকে দুই আসামী পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

প্যারিসগামী ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

বালাগঞ্জের স্কুলছাত্রী ধর্ষণকারী আরিফ ও রুমন এখনো অধরা

আপডেট সময় ১১:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ এপ্রিল ২০১৮

বালাগঞ্জের তয়রুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো অধরা রয়ে গেছে দুই ধর্ষক। এমনকি যে মোবাইল ফোন দিয়ে ধষর্ণের ভিডিও ধারণ করেছিল ধর্ষকরা সেটিও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মনে। অতিসত্ত্বর দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

ইতোমধ্যে গত ১৩ মার্চ তয়রুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপির অনুলিপি প্রেরণ করে তাঁরা।

ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে আসাও বন্ধ করে দিয়েছে ঐ স্কুল ছাত্রী।
প্রসঙ্গ, গত ১০ মার্চ সকালে ঐ ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সিরিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আশিক মিয়ার ছেলে আরিফ কৌশলে তার বন্ধু নবীনগর এলাকার ভাড়াটে বাসিন্দা উপেন্ড দাশের ছেলে রুমনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ঐ ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে আরিফ ও রুমন মিলে একাধিকবার ধর্ষন করে এবং ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। ঘটনা চাপা রাখতে ধারণকৃত ভিডিওটি অনলাইনে ছেড়ে দেয়ারও হুমকী দেয় তারা। ঘটনার দিন রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দুই ধর্ষককে অভিযুক্ত করে বালাগঞ্জ একটি মামলা দায়ের করেন।
তয়রুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম আখন্দ বলেন, ঘটনার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষোব্ধ এবং হতাশ। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানান তিনি।
স্কুল ছাত্রীর বাবা রুয়েল খান বলেন, পুলিশ এখনো আসামীদের খুঁজে পায়নি। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বালাগঞ্জ থানার ওসি এসএম জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকে দুই আসামী পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।