ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি” গহরপুর জামিয়ার ৬৮তম বার্ষিক মাহফিল বৃহস্পতিবার: সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হযরত শাহ জামাল (রহ.) দারুস সুন্নাহ নুরীয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার ওয়াজ ও দুয়া মাহফিল ৫ জানুয়ারি প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন বালাগঞ্জে শাহ আকিবুন নূর চৌধুরী বৃত্তি বিতরণ সম্পন্ন ফ্রান্সে প্রবাসে সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরনের পন্থা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত বালাগঞ্জে আল ইসলাহ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন স্বদেশ গমন উপলক্ষে আবু বক্করকে সংবর্ধনা প্রদান ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় ফ্রান্সে যুবদলের আনন্দ উৎসব বালাগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন : মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে ধানের শীষ

বালাগঞ্জের স্কুলছাত্রী ধর্ষণকারী আরিফ ও রুমন এখনো অধরা

  • আপডেট সময় ১১:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ এপ্রিল ২০১৮
  • ১৮২ বার পড়া হয়েছে

বালাগঞ্জের তয়রুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো অধরা রয়ে গেছে দুই ধর্ষক। এমনকি যে মোবাইল ফোন দিয়ে ধষর্ণের ভিডিও ধারণ করেছিল ধর্ষকরা সেটিও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মনে। অতিসত্ত্বর দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

ইতোমধ্যে গত ১৩ মার্চ তয়রুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপির অনুলিপি প্রেরণ করে তাঁরা।

ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে আসাও বন্ধ করে দিয়েছে ঐ স্কুল ছাত্রী।
প্রসঙ্গ, গত ১০ মার্চ সকালে ঐ ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সিরিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আশিক মিয়ার ছেলে আরিফ কৌশলে তার বন্ধু নবীনগর এলাকার ভাড়াটে বাসিন্দা উপেন্ড দাশের ছেলে রুমনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ঐ ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে আরিফ ও রুমন মিলে একাধিকবার ধর্ষন করে এবং ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। ঘটনা চাপা রাখতে ধারণকৃত ভিডিওটি অনলাইনে ছেড়ে দেয়ারও হুমকী দেয় তারা। ঘটনার দিন রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দুই ধর্ষককে অভিযুক্ত করে বালাগঞ্জ একটি মামলা দায়ের করেন।
তয়রুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম আখন্দ বলেন, ঘটনার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষোব্ধ এবং হতাশ। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানান তিনি।
স্কুল ছাত্রীর বাবা রুয়েল খান বলেন, পুলিশ এখনো আসামীদের খুঁজে পায়নি। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বালাগঞ্জ থানার ওসি এসএম জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকে দুই আসামী পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি”

বালাগঞ্জের স্কুলছাত্রী ধর্ষণকারী আরিফ ও রুমন এখনো অধরা

আপডেট সময় ১১:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ এপ্রিল ২০১৮

বালাগঞ্জের তয়রুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো অধরা রয়ে গেছে দুই ধর্ষক। এমনকি যে মোবাইল ফোন দিয়ে ধষর্ণের ভিডিও ধারণ করেছিল ধর্ষকরা সেটিও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মনে। অতিসত্ত্বর দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

ইতোমধ্যে গত ১৩ মার্চ তয়রুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপির অনুলিপি প্রেরণ করে তাঁরা।

ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে আসাও বন্ধ করে দিয়েছে ঐ স্কুল ছাত্রী।
প্রসঙ্গ, গত ১০ মার্চ সকালে ঐ ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সিরিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আশিক মিয়ার ছেলে আরিফ কৌশলে তার বন্ধু নবীনগর এলাকার ভাড়াটে বাসিন্দা উপেন্ড দাশের ছেলে রুমনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ঐ ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে আরিফ ও রুমন মিলে একাধিকবার ধর্ষন করে এবং ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। ঘটনা চাপা রাখতে ধারণকৃত ভিডিওটি অনলাইনে ছেড়ে দেয়ারও হুমকী দেয় তারা। ঘটনার দিন রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দুই ধর্ষককে অভিযুক্ত করে বালাগঞ্জ একটি মামলা দায়ের করেন।
তয়রুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম আখন্দ বলেন, ঘটনার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষোব্ধ এবং হতাশ। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানান তিনি।
স্কুল ছাত্রীর বাবা রুয়েল খান বলেন, পুলিশ এখনো আসামীদের খুঁজে পায়নি। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বালাগঞ্জ থানার ওসি এসএম জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকে দুই আসামী পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।