ঢাকা ০২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্যারিসে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা,ফ্রান্সের নতুন কমিটির অভিষেক ও পরিচিতি সভা অনুষ্টিত ফ্রান্সে নভেম্বর মাসে যেসব পরিবর্তন আসছে ২০২৬ সালের নির্বাচনে ভোট বর্জনের হুমকি শেখ হাসিনার ঝালকাঠির দুটি আসনে বিএনপির দুর্গে আঘাত হানতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ‘ইসলামী জোট’ ফরাসি বাজেট নিয়ে সংসদে টানাপোড়েন: সরকার টিকে থাকবে কি? আওয়ামীলীগের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ চান হাসিনা বালাগঞ্জ-গহরপুরে রুকন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের স্বপ্নের মেগাপ্রকল্প ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে নিয়ে অনলাইন বিদ্বেষমূলক প্রচারণা: ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা শুরু “সিলেট-ঢাকা রেলপথে ৮ দফা দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা”

ইতালিতে ইউরোভর্তি মানিব্যাগটি ফেরত দিলেন বাংলাদেশি তরুণ

  • আপডেট সময় ০৮:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

ইতালির রোমে রাস্তায় পড়ে থাকা একটি মানিব্যাগ কুড়িয়ে নিয়ে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশি এক তরুণ। মানিব্যাগটিতে দুই হাজার ইউরো (১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার বেশি), কয়েকটি ক্রেডিট কার্ড, চালকের সনদ ও ব্যক্তিগত কিছু কাগজপত্র ছিল। তবে মানিব্যাগটি ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কোনো পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই তরুণ। তাঁর সোজা কথা, এই মানিব্যাগ তো তাঁর না, মানিব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে তিনি তো ব্যতিক্রম কিছু করেননি!

ওই বাংলাদেশি তরুণকে নিয়ে ইতালির স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। তরুণকে নিয়ে গতকাল সোমবার বিবিসি অনলাইনও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে তরুণের নাম মোসান রাসেল (২৩) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ইতালির রাজধানী রোমের রাস্তায় মানিব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখে রাসেল তা তুলে নিয়ে সোজা চলে যান পুলিশের কাছে। পরে রাসেলের হাত থেকে প্রকৃত মালিকের কাছে মানিব্যাগটি হস্তান্তরের আয়োজন করে পুলিশ। মানিব্যাগটির মালিক ইতালিয় এক ব্যবসায়ী।

সততার জন্য রাসেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। তবে গত রোববার ইতালির দৈনিক ‘লা রিপাবলিকা’য় দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাসেল বলেন, ‘আমি ব্যতিক্রম কিছু করিনি। কারণ মানিব্যাগটি তো আমার না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানিব্যাগে কত অর্থ ছিল, সেটাও আমি জানতাম না, কারণ আমি তা গুনে দেখিনি। আমি শুধু সেটি তুলে নিয়ে পুলিশের কাছে গেছি। এটা সৎ হওয়ার বিষয়, যা হতে আমার পরিবার আমাকে শিখিয়েছে।’

রাসেল রোম শহরের কেন্দ্রে একটি ছোট্ট দোকান চালান। সাত বছর ধরে তিনি শহরটিতে বসবাস করছেন। তিনি মানিব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো পুরস্কার নিতে চাননি। বরং মানিব্যাগের মালিক এখন থেকে তাঁর দোকানের নিয়মিত খরিদ্দার হলে তিনি খুশি হবেন বলে জানিয়েছেন।

সূত্রঃঃ প্রথম আলো

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ইতালিতে ইউরোভর্তি মানিব্যাগটি ফেরত দিলেন বাংলাদেশি তরুণ

আপডেট সময় ০৮:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ইতালির রোমে রাস্তায় পড়ে থাকা একটি মানিব্যাগ কুড়িয়ে নিয়ে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশি এক তরুণ। মানিব্যাগটিতে দুই হাজার ইউরো (১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার বেশি), কয়েকটি ক্রেডিট কার্ড, চালকের সনদ ও ব্যক্তিগত কিছু কাগজপত্র ছিল। তবে মানিব্যাগটি ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কোনো পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই তরুণ। তাঁর সোজা কথা, এই মানিব্যাগ তো তাঁর না, মানিব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে তিনি তো ব্যতিক্রম কিছু করেননি!

ওই বাংলাদেশি তরুণকে নিয়ে ইতালির স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। তরুণকে নিয়ে গতকাল সোমবার বিবিসি অনলাইনও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে তরুণের নাম মোসান রাসেল (২৩) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ইতালির রাজধানী রোমের রাস্তায় মানিব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখে রাসেল তা তুলে নিয়ে সোজা চলে যান পুলিশের কাছে। পরে রাসেলের হাত থেকে প্রকৃত মালিকের কাছে মানিব্যাগটি হস্তান্তরের আয়োজন করে পুলিশ। মানিব্যাগটির মালিক ইতালিয় এক ব্যবসায়ী।

সততার জন্য রাসেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। তবে গত রোববার ইতালির দৈনিক ‘লা রিপাবলিকা’য় দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাসেল বলেন, ‘আমি ব্যতিক্রম কিছু করিনি। কারণ মানিব্যাগটি তো আমার না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানিব্যাগে কত অর্থ ছিল, সেটাও আমি জানতাম না, কারণ আমি তা গুনে দেখিনি। আমি শুধু সেটি তুলে নিয়ে পুলিশের কাছে গেছি। এটা সৎ হওয়ার বিষয়, যা হতে আমার পরিবার আমাকে শিখিয়েছে।’

রাসেল রোম শহরের কেন্দ্রে একটি ছোট্ট দোকান চালান। সাত বছর ধরে তিনি শহরটিতে বসবাস করছেন। তিনি মানিব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো পুরস্কার নিতে চাননি। বরং মানিব্যাগের মালিক এখন থেকে তাঁর দোকানের নিয়মিত খরিদ্দার হলে তিনি খুশি হবেন বলে জানিয়েছেন।

সূত্রঃঃ প্রথম আলো