ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্রান্সে এফএফবিএ সম্মাননায় ভূষিত হলেন বাংলাদেশি নয়ন এনকে ফ্রান্স- বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা ফ্রান্সে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণ প্যারিসে বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন ফ্রান্সের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলর রাব্বানী খানের ফ্রান্স সিনেটের ‘মেডেল ড’অনার’ লাভ “অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমাজের দ্বৈত মানসিকতা* ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রধান হাসনাত আরিয়ান খানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ফ্রান্সে বিশ্ব স্বজন ফাউন্ডেশনের ১ যুগপূর্তি উদযাপন বালাগঞ্জে জামালপুর তোহফা ফাউন্ডেশনের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উন্মোচন

কানাডায় প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে এমপি নির্বাচিত হলেন সিলেটের ডলি

  • আপডেট সময় ০৯:২৫:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুন ২০১৮
  • ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে কানাডার প্রাদেশিক নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ডলি বেগম। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে স্কারবোরো-সাউথইস্ট আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পেয়েছেন তিনি। ওই অঞ্চলটিতে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কর্তৃত্ব করছিল লিবারেল পার্টি। কিন্তু এবার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি জয় লাভ করেছে। আর তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ডলি বেগম। কানাডার দৈনিক টরোন্টো স্টারের খবরে এসব কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কানাডায় প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একমাত্র বাংলাদেশী প্রার্থী ছিলেন ডলি বেগম। এ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে উচ্ছাসের কমতি ছিল না। স্কারবোরো-সাউথইস্ট আসনের ৬৩টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফলে দেখা গেছে, ডলি বেগম তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে ৬ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭৫১ ভোট। বিপরীতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিসি পার্টির প্রার্থী গ্যারি এলিস পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৯২ ভোট। এই অঞ্চলটিতে ২০০৩ সাল থেকে নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রেখেছিল লিবারেল পার্টি। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছে।
ডলি বেগম স্কারবোরোতে ‘কমিউনিটি ওয়ার্কার’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। তার এই পরিচিতি নির্বাচনে জয়লাভ করতে ভূমিকা রেখেছে। তিনি স্থানীয় ‘হাইড্রো পাবলিক ক্যাম্পেইন’ এর কো-অর্ডিনেটর। পাশাপাশি স্কারবোরো হেলথ কোয়ালিশনের কো-চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ডেন উডস কমিউনিটি সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান।

ডলি বেগমের বাবার বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজার জেলায়। মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে শিশুকালেই কানাডায় আসেন তিনি। টরন্টো ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে ডেভেলপমেন্ট, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও প্ল্যান্টে মাস্টার্স করেছেন ডলি। স্কারবোর হেলথ কোলিশনের কো-চেয়ার এবং ওয়ার্ডেন উডসস কমিউনিটি সেন্টারের ভাইস-চেয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। ডোই প্রদেশের ওয়াইড হাইড্রো পাবলিক প্রচারাভিযানের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন, যারা সফলভাবে টরন্টো হাইড্রো এবং ওয়াসগা বিতরণের ব্যক্তিগতকরণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

ডলি বেগমের নির্বাচনীর প্রচারণার স্লোগান ছিল, ‘আমাকে নির্বাচিত করুন, আমি আপনাদের আশাহত করব না।’ ডলির এই বিজয়ে কানাডায় বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের তরুণদের প্রেরণা জোগাবে বলেই মনে করছেন এখানকার বাংলাদেশিরা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ফ্রান্সে এফএফবিএ সম্মাননায় ভূষিত হলেন বাংলাদেশি নয়ন এনকে

কানাডায় প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে এমপি নির্বাচিত হলেন সিলেটের ডলি

আপডেট সময় ০৯:২৫:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুন ২০১৮

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে কানাডার প্রাদেশিক নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ডলি বেগম। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে স্কারবোরো-সাউথইস্ট আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পেয়েছেন তিনি। ওই অঞ্চলটিতে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কর্তৃত্ব করছিল লিবারেল পার্টি। কিন্তু এবার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি জয় লাভ করেছে। আর তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ডলি বেগম। কানাডার দৈনিক টরোন্টো স্টারের খবরে এসব কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কানাডায় প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একমাত্র বাংলাদেশী প্রার্থী ছিলেন ডলি বেগম। এ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে উচ্ছাসের কমতি ছিল না। স্কারবোরো-সাউথইস্ট আসনের ৬৩টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফলে দেখা গেছে, ডলি বেগম তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে ৬ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭৫১ ভোট। বিপরীতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিসি পার্টির প্রার্থী গ্যারি এলিস পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৯২ ভোট। এই অঞ্চলটিতে ২০০৩ সাল থেকে নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রেখেছিল লিবারেল পার্টি। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছে।
ডলি বেগম স্কারবোরোতে ‘কমিউনিটি ওয়ার্কার’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। তার এই পরিচিতি নির্বাচনে জয়লাভ করতে ভূমিকা রেখেছে। তিনি স্থানীয় ‘হাইড্রো পাবলিক ক্যাম্পেইন’ এর কো-অর্ডিনেটর। পাশাপাশি স্কারবোরো হেলথ কোয়ালিশনের কো-চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ডেন উডস কমিউনিটি সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান।

ডলি বেগমের বাবার বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজার জেলায়। মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে শিশুকালেই কানাডায় আসেন তিনি। টরন্টো ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে ডেভেলপমেন্ট, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও প্ল্যান্টে মাস্টার্স করেছেন ডলি। স্কারবোর হেলথ কোলিশনের কো-চেয়ার এবং ওয়ার্ডেন উডসস কমিউনিটি সেন্টারের ভাইস-চেয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। ডোই প্রদেশের ওয়াইড হাইড্রো পাবলিক প্রচারাভিযানের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন, যারা সফলভাবে টরন্টো হাইড্রো এবং ওয়াসগা বিতরণের ব্যক্তিগতকরণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

ডলি বেগমের নির্বাচনীর প্রচারণার স্লোগান ছিল, ‘আমাকে নির্বাচিত করুন, আমি আপনাদের আশাহত করব না।’ ডলির এই বিজয়ে কানাডায় বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের তরুণদের প্রেরণা জোগাবে বলেই মনে করছেন এখানকার বাংলাদেশিরা।