দর্পণ রিপোর্ট : ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু (François Bayrou) হঠাৎ করেই সোমবার (২৫ আগস্ট) নতুন করে একটি আস্থা ভোটের ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে ফ্রান্সে আরেকটি রাজনৈতিক সংকটে পড়ে যাওয়ার শংকা তৈরী হয়েছে।
এই সংকটের মূল কারণ সেই পুরনো সমস্যাটিই ঘুরেফিরে আসছে আর তা হলো বাজেট ঘাটতি। ২০২৪ সালের মতোই, সরকারকে একটি কঠোর বাজেট প্রনয়ন করতে হচ্ছে যাতে ব্যয় কমানো যায়, কিন্ত সেই বাজেট যে চরম অজনপ্রিয় হবে তাতে সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যে বিরোধী দল, ট্রেড ইউনিয়ন এবং সাধারণ মানুষের কাছে এধরনের বাজেট চরম্ অজনপ্রিয় হয়েছে।
২০২৪ সালের শেষ দিকে একই কারণে তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়েকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।আগাম আস্তা ভোট ঘোষনার মাধ্যমে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাইরু যেন সেই একই পরিণতির শিকার না হন, সেজন্য তিনি আগেভাগেই রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা।
কী হবে ৮ সেপ্টেম্বর?
• বিশেষ পার্লামেন্ট অধিবেশন: বাইরু প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ-কে অনুরোধ করেছেন একটি বিশেষ সংসদ অধিবেশন ডাকতে।
• আস্থা ভোট: বাইরু সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে বলবেন সদস্যদের কাছে জানতে চাইবেন তিনি এবং তার সরকারের উপর এখনো সংসদ আস্থা রাখে কি না।
যদি বাইরু আস্থা ভোটে জয় পান:
• তার সরকার আরও শক্ত অবস্থানে থেকে কঠিন বাজেট পাস করার চেষ্টা করতে পারবে।
• প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ছাঁটাই এবং আর্থিক সংস্কারের প্রস্তাব থাকতে পারে।
• তবে এবাজেটের প্রতিক্রিয়ায় ট্রেডইউনিয়ন ও জনগণের প্রতিবাদের জোরালো সম্ভাবনা থাকবে।
আবার যদি বাইরো আস্তা ভোটে হেরে যান:
• সরকার পতন ঘটবে।
• প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ হয়তো নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন, অথবা
• জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন ডাকতে পারেন।
এই সংকটের মূল কারণ?
• চরম বাজেট ঘাটতি: ফ্রান্সের ব্যয় আয়কে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ রয়েছে খরচ কমানোর।
• সংসদে দূর্বল ম্যান্ডেট: ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ফ্রান্সের সংসদ এখনো স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়াই চলছে।
• বাইরুর কৌশল: বাজেট নিয়ে পরে বিপদে পড়ার চেয়ে এখনই আস্থা যাচাই করে নেওয়া ভালো এই চিন্তা থেকেই বাইরো আগাম পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এরপর কী হতে পারে?
• আস্থা ভোটে জয় পেলে: বাইরু সরকার শক্তিশালী হবে, বাজেট পেশ করবে, তবে বিক্ষোভ শুরু হতে পারে।
• হারলে: নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ বা নতুন নির্বাচন – উভয়ই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে।
এই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে চরম ডানপন্থী “ন্যাশনাল র্যালি (RN)” পার্টি সুযোগ নিতে পারে – যেহেতু জনগণের মধ্যে সরকারবিরোধী মনোভাব বাড়ছে।











