ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপও সক্রিয় হয়েছে ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া ‌ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত রোম জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির কমিটি ঘোষণা ও ঈদ পূর্ণমিলনী‌ প্যারিসে “কীভাবে গড়বেন নেক সন্তান” বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতালির টুর্নামেন্টের গ্রুপ বাছাই সম্পন্ন: সোমবার উদ্বোধনী খেলা স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ফ্রান্স গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন

বাংলাদেশের গণতন্ত্র ঝুকির মুখে-ফরাসী মানবাধিকার কর্মী

  • আপডেট সময় ০৭:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৮
  • ৩১২ বার পড়া হয়েছে

প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি এবং অতীত কার্যকলাপ পর্যালোচনা করে দেখা যায় দেশটিতে গনতন্ত্র ঝুকির মুখে রয়েছে। সাধারন মানুষের মত প্রকাশ করার কোন স্বাধীনতা নেই। বিরুদ্ধ মত প্রদর্শনকারীকে জেল জুলুমের পাশাপাশি নানা নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ২৭ নভেম্বর প্যারিসের একটি অভিজাত রোস্তোরায় ‘বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী সরকার এবং ঝুকির মুখে মানবাধিকার শীর্ষক এক গবেষণা বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন ফ্রান্সের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী নরদিন ড্রিসি।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যক্তিগত গবেষনা করে এ বইটি লিখেছেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সরকার বিরোধী কোন মতের সুযোগ নাই। সরকারের বিরুদ্ধে কোন কিছু গেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দেশে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড অনেক বেড়েছে। এখন দেশে হত্যা ও গুম একটি সাধারন ঘটনায় পরিনত হয়েছে।
বাংলাদেশের সরকার নিজের গনতান্ত্রিক রুপ পরিবর্তন করে এখন কর্তৃত্ববাদী সরকারের পথে হাটছে। ব্যক্তিগত মত প্রকাশের কোন স্বাধীনতা এখন বাংলাদেশে নাই বললেই চলে। সামরিক শানকালীন সরকারেও এরকম পরিস্থিতি দেখা যায় না।
গনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা থেকে ক্রমেই একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিনত হচ্ছে বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশটির জনগন সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে।এতে করে উদ্বাস্তু আবেদনকারীর সংখ্যা্ বাড়ছে। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে দেশটিরঅর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
বইটির লেখক নিজে বাংলাদেশে গিয়ে ভুক্তভোগী এবং একাধিক মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার কর্মীল মধ্যে ট্রান্সপারেন্সী ইন্টান্যাশনালের ট্রািস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল সহ একাধিক ব্যক্তি এ বই রচনায় তথ্য দিয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ

বাংলাদেশের গণতন্ত্র ঝুকির মুখে-ফরাসী মানবাধিকার কর্মী

আপডেট সময় ০৭:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি এবং অতীত কার্যকলাপ পর্যালোচনা করে দেখা যায় দেশটিতে গনতন্ত্র ঝুকির মুখে রয়েছে। সাধারন মানুষের মত প্রকাশ করার কোন স্বাধীনতা নেই। বিরুদ্ধ মত প্রদর্শনকারীকে জেল জুলুমের পাশাপাশি নানা নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ২৭ নভেম্বর প্যারিসের একটি অভিজাত রোস্তোরায় ‘বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী সরকার এবং ঝুকির মুখে মানবাধিকার শীর্ষক এক গবেষণা বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন ফ্রান্সের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী নরদিন ড্রিসি।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যক্তিগত গবেষনা করে এ বইটি লিখেছেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সরকার বিরোধী কোন মতের সুযোগ নাই। সরকারের বিরুদ্ধে কোন কিছু গেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দেশে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড অনেক বেড়েছে। এখন দেশে হত্যা ও গুম একটি সাধারন ঘটনায় পরিনত হয়েছে।
বাংলাদেশের সরকার নিজের গনতান্ত্রিক রুপ পরিবর্তন করে এখন কর্তৃত্ববাদী সরকারের পথে হাটছে। ব্যক্তিগত মত প্রকাশের কোন স্বাধীনতা এখন বাংলাদেশে নাই বললেই চলে। সামরিক শানকালীন সরকারেও এরকম পরিস্থিতি দেখা যায় না।
গনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা থেকে ক্রমেই একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিনত হচ্ছে বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশটির জনগন সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে।এতে করে উদ্বাস্তু আবেদনকারীর সংখ্যা্ বাড়ছে। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে দেশটিরঅর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
বইটির লেখক নিজে বাংলাদেশে গিয়ে ভুক্তভোগী এবং একাধিক মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার কর্মীল মধ্যে ট্রান্সপারেন্সী ইন্টান্যাশনালের ট্রািস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল সহ একাধিক ব্যক্তি এ বই রচনায় তথ্য দিয়েছেন।