নওগাঁর পোরশার হাঁপানিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আজ আরও তিন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বিল এলাকায় ভারতের ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জোয়ানরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল বুধাবারও (২২ জানুয়ারি) ভোর লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা সীমান্ত এলাকায় দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ নিয়ে গেল প্রায় ২৪ ঘান্টায় বিএসএফের গুলিতে ৫ বাংলাদেশি নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল ভোরে হাতিবান্ধা উপজেলার গুতামারী ইউনিয়নের বনচৌকি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতরা হলেন- আমঝোল গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে সুরুজ (৩৮) এবং একই গ্রামের উসমান আলীর ছেলে সুরুজ (১৭)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফের গুলিতে তারা নিহত হয়। গুতামারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সাবু মিয়া জানান, বিএসএফের গুলিতে দুজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি।
আজকের (বৃহস্পতিবার) ঘটনায় নিহতরা হলেন- পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুকরার ছেলে রনজিত কুমার (২৫), দিঘীপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) এবং কাঁটাপুকুরের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে বেশ কয়েকজন যুবক ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে গরু আনতে যান। তারা গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার ভোররাতে পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বিল এলাকায় ভারতের ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জোয়ানরা গরু ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তিন বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হন। গরু ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলামের গুলিবিদ্ধ মরদেহ বাংলাদেশের ২০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে ছিল। আর রনজিত কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ ভারতের ৮০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে ছিল।
এ বিষয়ে ১৬ বিজিবির হাঁপানিয়া ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোখলেছুর রহমান জানান, তিনজন গুলিবিদ্ধের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে গুলিবিদ্ধদের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একজন মারা গেছে। অপর দুইজন ভারতের অভ্যন্তরে মারা গেছে কি-না খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তিনি পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দিবেন বলেও জানান।