- ফেরদৌস করিম আখঞ্জী //
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচন প্রথম রাউন্ডের পূর্বে বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, তিনি
“বড় ধরণের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চান। চাকুরীজীবিদের ৬০০০ ইউরো পর্যন্ত চার্জ বা ট্যাক্স ছাড়া বোনাস দিবেন।
প্রোডাক্টিভ রাষ্ট্র না থাকলে কোনো কল্যাণ রাষ্ট্র হয় না। আপনাদের কে আরও বেশি কাজ করতে হবে,
অবসরে যাবার বয়স বয়স ৬৫ তে বহালের পক্ষে তিনি মতামত দেন। যারা আপনাকে ৬০ বা ৬২ বছর বয়সে অবসর নিতে বলে তাদের বিশ্বাস করবেন না কারণ এটি সত্য নয়।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তার বক্তব্যে গত মেয়াদে কি কি করেছেন সেটি তুলে ধরেন এবং আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি কি কি করবেন সেই পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, হাউজিং ট্যাক্স বাতিল করন, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো , আবাসন সংস্কার করুন, শিক্ষানবিশের সংখ্যা দ্বিগুণ করুন… “এটি আমাদের প্রকল্প ছিল এবং এটি আমরা ইতিমধ্যে করেছি।
পুনঃনির্বাচিত হলে তিনি যে কাজ গুলি করবেন তা উল্লেখ করেন, এমানুয়েল ম্যাক্রন “আরো বলেন
শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি নতুন একটা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন “আমরা মৌলিক জ্ঞান শিক্ষা জোরদার করবো ,ফরাসি, গণিত, স্নাতক পর্যন্ত” থাকবে।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো আরো বলেন, “আমি চাই শিক্ষক এবং পিতামাতাদের তাদের সন্তানদের সফল হওয়ার উপায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক। সিস্টেম আমাদের বলবে যে এটা অসম্ভব। কিন্তু যেহেতু এটি অসম্ভব, আমরা এটি করব.
ম্যাক্রন বলেন, আমাদের আরও কাজ করতে হবে”
প্রোডাক্টিভ রাষ্ট্র না থাকলে কোনো কল্যাণ রাষ্ট্র হয় না।” আপনাদের কে আরও বেশি কাজ করতে হবে,
অবসরে যাবার বয়স ৬৫ তে বহালের পক্ষে তিনি মতামত দেন। , মানবতাবাদ, অগ্রগতি, এটিই আমাদের মূলমন্ত্র, এসব নীতির কারণে আমরা ফরাসি হিসেবে গর্বিত।
অভিবাসন সম্পর্কে ভাষণে তিনি তেমন কিছু বলেন নাই।
গত শনিবার, ( ২ এপ্রিল) প্যারিসের নিকটবর্তী লা ডিফেন্স এরিনা তে, প্রথম রাউন্ডের নির্বাচনের আগে এটি ছিল তার প্রথম নির্বাচনী প্রচারনামূলক সভা. প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তিনি বক্তব্য প্রদান করেন। প্রায় ত্রিশ হাজারেরও অধিক মানুষ উক্ত জনসভায় উপস্থিত ছিল।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এমানুয়েল ম্যাক্রন সমর্থকদের মাঝে একা মঞ্চে বক্তব্য রাখেন। তার দলের অন্য কোন নেতা বা ব্যক্তি তার আগে বা পরে বক্তৃতা করেননি, তবে বেশ কয়েকটি সঙ্গীত পরিবেশন করে সবাইকে মাতিয়ে রাখা হয় ,স্পটলাইটগুলি লেজার দিয়ে পুরা মিলনায়ণ টিকে আলোকিত করে রেখেছিল।
আগামী ১০ এপ্রিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচনের প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে।
আনুমানিক ২০০০ বাংলাদেশি অরিজিন ফরাসি নাগরিক রয়েছেন। তারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই এবারের নির্বাচনে ভোট দিবেন।