স্টাফ রিপোর্টার // প্যারিস, ২৬ অক্টোবর: ফ্রান্সে প্রবাসী কুলাউড়াবাসীর সংগঠন “কুলাউড়া উপজেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ফ্রান্স”-এর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের সিলেট-ঢাকা রেলপথ উন্নয়নে চলমান ৮ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও একাত্মতা ঘোষণা করেন।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) প্যারিসের পার্শ্ববর্তী ক্যাথসিমা এলাকার ‘আমার বাংলা’ হলে সন্ধ্যা ৭টায় এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রবাসে বসবাসরত কুলাউড়া উপজেলার সদস্যরা অংশ নেন এবং সংগঠনের উন্নয়ন, সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী মতিন, এবং যৌথভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. ময়নুল ইসলাম ও জিলু খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শাহ খায়রুল।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আতিকুর রহমান আতিক,
প্রধান বক্তা ছিলেন সাব্বির আহমদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আনোয়ার আলী, আব্দুল হান্নান কুটি, খায়রুল আমিন খসরু, আব্দুল কাদির, আলী আকবর, আহমেদ জুনেদ ফারহান, মো. লুৎফুর রহমান বাবু, আবুল কালাম মামুন, এমসি রুমেল, সামাদ খান রাজু, আলাল খান, মো. আলী চৌধুরী নাজির, মুরাদ আহমদ, এনামুল ইসলাম লিমন, জাহেদ মাহমুদ, কাওসার আহমদ, ও দুলাল আহমদ প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জসিম মিয়া, শামসুজ্জামান জালাল, মিজানুর রহমান মিজান, হাফিজুর রহমান মুকিম, আব্দুর রহমান রাজু, আব্দুস সালাম, তৌফিক আবির, রুমেল আহমদ, আব্দুল অদুদ মোহন, এনামুল হক, ফুয়াদ হাসান মিটু, ও আব্দুর রহিম সহ আরও অনেকে।
রেলপথ উন্নয়নে ৮ দফা দাবির প্রতি সমর্থন
সভায় বক্তারা বলেন, “সিলেট অঞ্চলের রেলপথ আজ অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। জনস্বার্থে এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।”
তারা জানান, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে চলমান ৮ দফা দাবির প্রতি কুলাউড়া উপজেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ফ্রান্স পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করছে।
বক্তারা আরও বলেন,
“এই যৌক্তিক দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সিলেট প্রবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করবে এবং সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কার্যক্রম চালাবে।”
দাবিগুলোর সারসংক্ষেপ
সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালু করা।
সিলেট–আখাউড়া সেকশনের রেলপথ সংস্কার করে ডুয়েলগেজে উন্নীত করা।
সিলেট–আখাউড়া লোকাল ট্রেন চালু করা।
সিলেট অঞ্চলে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলস্টেশনগুলো পুনরায় চালু করা।
কুলাউড়া স্টেশনে টিকিট বরাদ্দ বাড়ানো।
কালনী ও পারাবত এক্সপ্রেসের আজমপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি বন্ধ করা।
সব ট্রেনে নতুন ইঞ্জিন সংযোজন।
যাত্রী অনুপাতে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা।
সভায় নেতৃবৃন্দ জানান, প্রবাস থেকেও তারা নিজ এলাকার উন্নয়ন ও জনস্বার্থে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
পরে নৈশভোজের মাধ্যমে সভার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয়।











