ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপও সক্রিয় হয়েছে ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া ‌ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত রোম জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির কমিটি ঘোষণা ও ঈদ পূর্ণমিলনী‌ প্যারিসে “কীভাবে গড়বেন নেক সন্তান” বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতালির টুর্নামেন্টের গ্রুপ বাছাই সম্পন্ন: সোমবার উদ্বোধনী খেলা স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ফ্রান্স গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন

তিন মিনিট দেরি করায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন জাপানের মন্ত্রী

  • আপডেট সময় ০৯:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

জাপানের পার্লামেন্টারি সভায় ৩ মিনিট দেরিতে উপস্থিত হওয়ায় তোপের মুখে পড়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন অলিম্পিক বিষয়ক মন্ত্রী ইয়োশিতাকা সাকুরাদা। বিরোধী দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন, তার এই বিলম্ব মূলত তার কার্যালয়ের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের প্রতিফলন। প্রতিবাদে তারা পার্লামেন্টের বাজেট কমিটির একটি সভা ৫ ঘণ্টা বর্জন করেন। খবর বিবিসি।

খবরে বলা হয়, এমনিতেই বেশ কয়েকটি বিব্রতকর কান্ডের জন্য সাকুরাদার সমালোচনায় মুখর ছিলেন বিরোধী দলীয় এমপিরা। গত সপ্তাহে এই মন্ত্রী দেশের এক প্রখ্যাত সাঁতারুর প্রসঙ্গে বলেন, তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত। বস্তুত এমন কিছু ঘটেনি। তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতার সম্ভাবনা ছিল তার।

তিনি এমন একজন অ্যাথলেট যার ওপর আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমি সত্যিই হতাশ।’ তার এই বক্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি ক্ষমা চান।

২০১৬ সালে তিনি তোপের মুখে পড়েছিলেন সংবেদনশীল একটি বিষয় নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের সৈন্যদের যৌন সেবা দিতে যেসব নারীকে বাধ্য করা হয়েছিল তাদেরকে ‘পেশাদার পতিতা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। অলিম্পিকের পাশাপাশি দেশের সাইবার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা সাকুরাদা গত বছর বলেছিলেন, তিনি কখনই কম্পিউটার ব্যবহার করেননি। এসব ক্ষেত্রে তিনি অধীনস্তদের ওপর নির্ভর করতেন। দেশের সাইবার নিরাপত্তা মন্ত্রী জীবনে কম্পিউটার ব্যবহার করেন নি, এমন বক্তব্য নিশ্চয়ই সুখকর নয়। বিরোধী দলীয় এমপিরা অনেকবারই তার পদত্যাগ চেয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, জাপানিরা সময় নিয়ে খুব সচেতন হলেও, কোনো সভায় ৩ মিনিট দেরি করে আসাটা খুব বড় কোনো ঘটনাও নয়। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যরা মূলত সাকুরাদার ব্যর্থতার ইঙ্গিত হিসেবে বিষয়টিকে তুলে ধরছেন। জনমত জরিপও মন্ত্রীর পক্ষে নয়। একটি জরিপে দেখা গেছে ৬৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারীই বলছেন তিনি মন্ত্রিত্বের যোগ্য নন। মাত্র ১৩ শতাংশ ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। গত বছরের অক্টোবরে সাকুরাদাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। দেশের সাইবার প্রতিরক্ষা তত্ত্বাবধান ও টোকিওতে ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক গেমস আয়োজন তদারকি করা তার দায়িত্বের অন্তর্ভূক্ত।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ

তিন মিনিট দেরি করায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন জাপানের মন্ত্রী

আপডেট সময় ০৯:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

জাপানের পার্লামেন্টারি সভায় ৩ মিনিট দেরিতে উপস্থিত হওয়ায় তোপের মুখে পড়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন অলিম্পিক বিষয়ক মন্ত্রী ইয়োশিতাকা সাকুরাদা। বিরোধী দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন, তার এই বিলম্ব মূলত তার কার্যালয়ের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের প্রতিফলন। প্রতিবাদে তারা পার্লামেন্টের বাজেট কমিটির একটি সভা ৫ ঘণ্টা বর্জন করেন। খবর বিবিসি।

খবরে বলা হয়, এমনিতেই বেশ কয়েকটি বিব্রতকর কান্ডের জন্য সাকুরাদার সমালোচনায় মুখর ছিলেন বিরোধী দলীয় এমপিরা। গত সপ্তাহে এই মন্ত্রী দেশের এক প্রখ্যাত সাঁতারুর প্রসঙ্গে বলেন, তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত। বস্তুত এমন কিছু ঘটেনি। তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতার সম্ভাবনা ছিল তার।

তিনি এমন একজন অ্যাথলেট যার ওপর আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমি সত্যিই হতাশ।’ তার এই বক্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি ক্ষমা চান।

২০১৬ সালে তিনি তোপের মুখে পড়েছিলেন সংবেদনশীল একটি বিষয় নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের সৈন্যদের যৌন সেবা দিতে যেসব নারীকে বাধ্য করা হয়েছিল তাদেরকে ‘পেশাদার পতিতা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। অলিম্পিকের পাশাপাশি দেশের সাইবার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা সাকুরাদা গত বছর বলেছিলেন, তিনি কখনই কম্পিউটার ব্যবহার করেননি। এসব ক্ষেত্রে তিনি অধীনস্তদের ওপর নির্ভর করতেন। দেশের সাইবার নিরাপত্তা মন্ত্রী জীবনে কম্পিউটার ব্যবহার করেন নি, এমন বক্তব্য নিশ্চয়ই সুখকর নয়। বিরোধী দলীয় এমপিরা অনেকবারই তার পদত্যাগ চেয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, জাপানিরা সময় নিয়ে খুব সচেতন হলেও, কোনো সভায় ৩ মিনিট দেরি করে আসাটা খুব বড় কোনো ঘটনাও নয়। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যরা মূলত সাকুরাদার ব্যর্থতার ইঙ্গিত হিসেবে বিষয়টিকে তুলে ধরছেন। জনমত জরিপও মন্ত্রীর পক্ষে নয়। একটি জরিপে দেখা গেছে ৬৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারীই বলছেন তিনি মন্ত্রিত্বের যোগ্য নন। মাত্র ১৩ শতাংশ ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। গত বছরের অক্টোবরে সাকুরাদাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। দেশের সাইবার প্রতিরক্ষা তত্ত্বাবধান ও টোকিওতে ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক গেমস আয়োজন তদারকি করা তার দায়িত্বের অন্তর্ভূক্ত।