ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বালাগঞ্জে আল ইসলাহ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন স্বদেশ গমন উপলক্ষে আবু বক্করকে সংবর্ধনা প্রদান ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় ফ্রান্সে যুবদলের আনন্দ উৎসব বালাগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন : মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে ধানের শীষ “Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা! আননূর মাদরাসার পক্ষ থেকে হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু-কে মেলবন্ধন স্মারক প্রদান বালাগঞ্জে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে “নবাগত ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ’র মতবিনিময় বালাগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ‘হাতের মুঠোয় সকল সেবা’ কার্যক্রম চালু বিমানের প্যারিস-ঢাকা ফ্লাইট পুনরায় চালুর জোরালো দাবী প্রবাসীদের

তিন মিনিট দেরি করায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন জাপানের মন্ত্রী

  • আপডেট সময় ০৯:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

জাপানের পার্লামেন্টারি সভায় ৩ মিনিট দেরিতে উপস্থিত হওয়ায় তোপের মুখে পড়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন অলিম্পিক বিষয়ক মন্ত্রী ইয়োশিতাকা সাকুরাদা। বিরোধী দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন, তার এই বিলম্ব মূলত তার কার্যালয়ের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের প্রতিফলন। প্রতিবাদে তারা পার্লামেন্টের বাজেট কমিটির একটি সভা ৫ ঘণ্টা বর্জন করেন। খবর বিবিসি।

খবরে বলা হয়, এমনিতেই বেশ কয়েকটি বিব্রতকর কান্ডের জন্য সাকুরাদার সমালোচনায় মুখর ছিলেন বিরোধী দলীয় এমপিরা। গত সপ্তাহে এই মন্ত্রী দেশের এক প্রখ্যাত সাঁতারুর প্রসঙ্গে বলেন, তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত। বস্তুত এমন কিছু ঘটেনি। তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতার সম্ভাবনা ছিল তার।

তিনি এমন একজন অ্যাথলেট যার ওপর আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমি সত্যিই হতাশ।’ তার এই বক্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি ক্ষমা চান।

২০১৬ সালে তিনি তোপের মুখে পড়েছিলেন সংবেদনশীল একটি বিষয় নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের সৈন্যদের যৌন সেবা দিতে যেসব নারীকে বাধ্য করা হয়েছিল তাদেরকে ‘পেশাদার পতিতা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। অলিম্পিকের পাশাপাশি দেশের সাইবার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা সাকুরাদা গত বছর বলেছিলেন, তিনি কখনই কম্পিউটার ব্যবহার করেননি। এসব ক্ষেত্রে তিনি অধীনস্তদের ওপর নির্ভর করতেন। দেশের সাইবার নিরাপত্তা মন্ত্রী জীবনে কম্পিউটার ব্যবহার করেন নি, এমন বক্তব্য নিশ্চয়ই সুখকর নয়। বিরোধী দলীয় এমপিরা অনেকবারই তার পদত্যাগ চেয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, জাপানিরা সময় নিয়ে খুব সচেতন হলেও, কোনো সভায় ৩ মিনিট দেরি করে আসাটা খুব বড় কোনো ঘটনাও নয়। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যরা মূলত সাকুরাদার ব্যর্থতার ইঙ্গিত হিসেবে বিষয়টিকে তুলে ধরছেন। জনমত জরিপও মন্ত্রীর পক্ষে নয়। একটি জরিপে দেখা গেছে ৬৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারীই বলছেন তিনি মন্ত্রিত্বের যোগ্য নন। মাত্র ১৩ শতাংশ ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। গত বছরের অক্টোবরে সাকুরাদাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। দেশের সাইবার প্রতিরক্ষা তত্ত্বাবধান ও টোকিওতে ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক গেমস আয়োজন তদারকি করা তার দায়িত্বের অন্তর্ভূক্ত।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

বালাগঞ্জে আল ইসলাহ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন

তিন মিনিট দেরি করায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন জাপানের মন্ত্রী

আপডেট সময় ০৯:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

জাপানের পার্লামেন্টারি সভায় ৩ মিনিট দেরিতে উপস্থিত হওয়ায় তোপের মুখে পড়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন অলিম্পিক বিষয়ক মন্ত্রী ইয়োশিতাকা সাকুরাদা। বিরোধী দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন, তার এই বিলম্ব মূলত তার কার্যালয়ের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের প্রতিফলন। প্রতিবাদে তারা পার্লামেন্টের বাজেট কমিটির একটি সভা ৫ ঘণ্টা বর্জন করেন। খবর বিবিসি।

খবরে বলা হয়, এমনিতেই বেশ কয়েকটি বিব্রতকর কান্ডের জন্য সাকুরাদার সমালোচনায় মুখর ছিলেন বিরোধী দলীয় এমপিরা। গত সপ্তাহে এই মন্ত্রী দেশের এক প্রখ্যাত সাঁতারুর প্রসঙ্গে বলেন, তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত। বস্তুত এমন কিছু ঘটেনি। তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতার সম্ভাবনা ছিল তার।

তিনি এমন একজন অ্যাথলেট যার ওপর আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমি সত্যিই হতাশ।’ তার এই বক্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি ক্ষমা চান।

২০১৬ সালে তিনি তোপের মুখে পড়েছিলেন সংবেদনশীল একটি বিষয় নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের সৈন্যদের যৌন সেবা দিতে যেসব নারীকে বাধ্য করা হয়েছিল তাদেরকে ‘পেশাদার পতিতা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। অলিম্পিকের পাশাপাশি দেশের সাইবার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা সাকুরাদা গত বছর বলেছিলেন, তিনি কখনই কম্পিউটার ব্যবহার করেননি। এসব ক্ষেত্রে তিনি অধীনস্তদের ওপর নির্ভর করতেন। দেশের সাইবার নিরাপত্তা মন্ত্রী জীবনে কম্পিউটার ব্যবহার করেন নি, এমন বক্তব্য নিশ্চয়ই সুখকর নয়। বিরোধী দলীয় এমপিরা অনেকবারই তার পদত্যাগ চেয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, জাপানিরা সময় নিয়ে খুব সচেতন হলেও, কোনো সভায় ৩ মিনিট দেরি করে আসাটা খুব বড় কোনো ঘটনাও নয়। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যরা মূলত সাকুরাদার ব্যর্থতার ইঙ্গিত হিসেবে বিষয়টিকে তুলে ধরছেন। জনমত জরিপও মন্ত্রীর পক্ষে নয়। একটি জরিপে দেখা গেছে ৬৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারীই বলছেন তিনি মন্ত্রিত্বের যোগ্য নন। মাত্র ১৩ শতাংশ ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। গত বছরের অক্টোবরে সাকুরাদাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। দেশের সাইবার প্রতিরক্ষা তত্ত্বাবধান ও টোকিওতে ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক গেমস আয়োজন তদারকি করা তার দায়িত্বের অন্তর্ভূক্ত।