ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“চব্বিশের বিপ্লব স্বার্থক করতে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের বিকল্প নেই” প্যারিসে সাফ ফোর্স ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন প্যারিসে ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে বিজয়ী ৬ বাংলাদেশিকে অভ্যর্থনা প্রদান প্যারিসে অন্নপূর্ণা পূজা পরিষদের আয়োজনে বৈশাখী উৎসব পহেলা মে, শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ফ্রান্সে বাংলাদেশী শ্রমিক গ্রুপের আয়োজনে দিবসকে স্মরণ প্যারিসে বেংগল টাইগার্সে স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সি উন্মোচন অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই ইতালিতে খোলা‌ মাঠে “বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদে’র বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ম্যাক্রোঁ

দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ

  • আপডেট সময় ০৬:৫৫:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

আতিকুর রহমান : মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদ প্রায় ৯ মাস ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য সেবা থেকে একেবারেই বঞ্চিত। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, ভাতাভোগীদের তালিকা হালনাগাদ কিংবা সরকার প্রদত্ত যেকোনো সেবা—সব কিছুই এখন থমকে আছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলই এই স্থবিরতার মূল কারণ। দলটি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত—“শান্ত গ্রুপ” ও “রিতা গ্রুপ”—যারা একে অপরকে দমিয়ে রাখার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এই দলাদলির কারণে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

চান্দহরের এক কৃষক বলেন, “আমার জমির ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন, ৩ মাস ধরে ঘুরছি। কেউ দায় নিচ্ছে না। পরিষদে গেলে শুধু তালা আর নীরবতা।”

স্থানীয় প্রবীণ একজন শিক্ষকের মন্তব্য, “চান্দহর ইউনিয়নের মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। এতদিন সহ্য করছে বলেই পরিষদ অক্ষত আছে। অন্য কোথাও হলে মানুষ ক্ষোভে বিস্ফোরিত হতো।”

জনগণের এ দুঃখ দুর্দশা দেখেও যাঁরা নিজেদের নেতা দাবি করেন, তাঁদের নিশ্চুপ অবস্থান প্রমাণ করে—যোগ্য নেতৃত্বের অভাবই আজ এই দুরবস্থার প্রধান কারণ। দলের নাম ব্যবহার করে এলাকায় দাপট থাকলেও, জনগণের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানবিকতা ও সক্ষমতা দেখা যাচ্ছে না কারো মধ্যেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মতো একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের এ ধরনের দ্বন্দ্ব শুধু দলীয় ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং গণমানুষের আস্থা হারানোর অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে।

তবে এখনো সময় আছে। সঠিক নেতৃত্ব ও উদ্যোগ থাকলে এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম দ্রুতই চালু করা সম্ভব। দলীয় সংকীর্ণতা ভুলে সাধারণ মানুষের স্বার্থে পদক্ষেপ গ্রহণ করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“চব্বিশের বিপ্লব স্বার্থক করতে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের বিকল্প নেই”

দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ

আপডেট সময় ০৬:৫৫:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

আতিকুর রহমান : মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদ প্রায় ৯ মাস ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য সেবা থেকে একেবারেই বঞ্চিত। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, ভাতাভোগীদের তালিকা হালনাগাদ কিংবা সরকার প্রদত্ত যেকোনো সেবা—সব কিছুই এখন থমকে আছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলই এই স্থবিরতার মূল কারণ। দলটি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত—“শান্ত গ্রুপ” ও “রিতা গ্রুপ”—যারা একে অপরকে দমিয়ে রাখার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এই দলাদলির কারণে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

চান্দহরের এক কৃষক বলেন, “আমার জমির ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন, ৩ মাস ধরে ঘুরছি। কেউ দায় নিচ্ছে না। পরিষদে গেলে শুধু তালা আর নীরবতা।”

স্থানীয় প্রবীণ একজন শিক্ষকের মন্তব্য, “চান্দহর ইউনিয়নের মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। এতদিন সহ্য করছে বলেই পরিষদ অক্ষত আছে। অন্য কোথাও হলে মানুষ ক্ষোভে বিস্ফোরিত হতো।”

জনগণের এ দুঃখ দুর্দশা দেখেও যাঁরা নিজেদের নেতা দাবি করেন, তাঁদের নিশ্চুপ অবস্থান প্রমাণ করে—যোগ্য নেতৃত্বের অভাবই আজ এই দুরবস্থার প্রধান কারণ। দলের নাম ব্যবহার করে এলাকায় দাপট থাকলেও, জনগণের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানবিকতা ও সক্ষমতা দেখা যাচ্ছে না কারো মধ্যেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মতো একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের এ ধরনের দ্বন্দ্ব শুধু দলীয় ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং গণমানুষের আস্থা হারানোর অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে।

তবে এখনো সময় আছে। সঠিক নেতৃত্ব ও উদ্যোগ থাকলে এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম দ্রুতই চালু করা সম্ভব। দলীয় সংকীর্ণতা ভুলে সাধারণ মানুষের স্বার্থে পদক্ষেপ গ্রহণ করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।