করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পঞ্চম ঢেউয়ে প্রবেশ করেছে ফ্রান্স। বুধবার এ সর্তকতা দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর ফলে দেশজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। যারা আশা করেছিলেন অবিলম্বে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবেন, তাদের মধ্যেও এখন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারণ, এখন শীতকাল। উত্তর গোলার্ধের এসব দেশে তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নিচে।
এ সময়ে এমনিতেই ঠাণ্ডাজনিত নানা সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে।
তার ওপর শক্তিশালী করোনা ভাইরাস, এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থাবা বিস্তার করছে। ফলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন সতর্কতায় চারদিকে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় টিএফ১ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, তার দেশ এখন করোনাভাইরাস মহামারি পঞ্চম ঢেউয়ে প্রবেশ করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো সেখানকার অবস্থা। তিনি আরো যোগ করেন- করোনাভাইরাস দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী বেশ কিছু দেশে করোনাভাইরাস মহামারি পঞ্চম ঢেউ শুরু হয়েছে।ফ্রান্সেও আমরা যে পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি তা ওই পঞ্চম ঢেউয়ের মতো।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে সেখানে ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৮৩ জন। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের উপরে। মধ্য অক্টোবরের পর দেশটিতে সাপ্তাহিক হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা শতকরা হিসেবে দুই অঙ্ক অতিক্রম করেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন এ সপ্তাহের শুরুতে সর্তকতা দিয়ে বলেছেন, করোনা সংক্রমণের হার তার দেশে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৬৫ বছর বা তার উপরে যাদের বয়স, তাদের কোনো রেস্তোরাঁয় যেতে হলে, কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হলে অথবা আন্তঃনগর ট্রেন চড়তে হলে প্রমাণ দেখাতে হবে যে তিনি বুস্টার ডোজ টিকা নিয়েছেন।